E Voting in Bihar : ২০২৫ সালের ২৮ শে জুনে ভারতবর্ষের প্রথম রাজ্য বিহারে স্থানীয় নির্বাচন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বা এই ভোটিং এর মাধ্যমে ভোটদান পর্ব হয়েছে, এটি ভারতের নির্বাচনের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো বিহার রাজ্য। দেশের গণতন্ত্রের এক বড় উৎসব হলো নির্বাচন আর সেই নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগে গেল বিহারে। দেশের প্রথম রাজ্য যেখানেই ভোটিং চালু হয়ে গেল।
ভারত সরকারের একটু বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলো যেটা কিন্তু দেশের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেল। এতে ভোটারদের স্বচ্ছতা ও সময় যেমন বাঁচলো তার থেকে অনেক বেশি সুবিধা হয়ে গেল। বুথে গিয়ে আর লাইন দিয়ে ভোট দিতে হবে না।
E-Voting System (ইভোটিং কি?)
ইলেকট্রনিক্স ভোটিং বা অনেকটি প্রক্রিয়া যেখানে ভোটাররা তাদের স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে ভোট দিতে পারে। এই ভোটিং সিস্টেম খুবই নিরাপদ এবং প্রযুক্তি নির্ভর একটি উত্তম ব্যবস্থাপনা। এখানে ব্যালট পেপারের বদলে Digital Platform ব্যবহার করা হয়।
E-Voting in Bihar launch : বিহারে ই-ভোটিং চালুর পেছনের উদ্দেশ্য
বিহার সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে এই ই-ভোটিং পদ্ধতির সূচনা হয় মূলত নিম্নলিখিত কারণে:
ভারতীয় নির্বাচন কমিশন এবং বিহার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটি উন্নততর ভোটিং পদ্ধতি ব্যবস্থা। এই ভোটিং ব্যবস্থা চালুর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে নিম্ন নেতা উল্লেখ করা হলো :-
# নির্বাচনী ব্যয় এবং সময় কমানো।
# ভোটিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখা।
# প্রবাসী নাগরিকদের সরাসরি অংশগ্রহণ করানো।
# দূরবর্তী এলাকায় থাকা ভোটারদের সাবধানে অংশগ্রহণ করা।
ভারতবর্ষে E-Voting ব্যবস্থা কোথায় এবং কিভাবে শুরু হলো?
এ ভোটিং ব্যবস্থা ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম বিহারের কিছু সংখ্যক পৌরসভায় চালু করা হলো ২০২৫ সালে। এটি একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু করা হলো। এখানে ভোটারদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে তার মাধ্যমে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি আধার এবং ফেস রিকগনেশন এর মাধ্যমে ভোটারদের যাচাই করানো এবং ভোট দানের ব্যবস্থা করে।

E-Voting এর সুরক্ষা ও প্রযুক্তি ব্যবস্থা ?
এ ভোটিং ব্যবস্থার ফলে সব থেকে যে সুবিধাটি পাওয়া যায় সেটি হল ডেটা সিকিউরিটি এবং ভোটারদের গোপনীয়তা বজায় রাখা।
এই ব্যবস্থা প্রথম ভারতবর্ষের বিহার রাজ্যের কিছু সংখ্যক পৌরসভাতে শুরু করা হচ্ছে।সুরক্ষার জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা হয়েছে যেমন :-
- ব্লকচেইন প্রযুক্তি (Block Chain).
- দুই স্তরের যাচাইকরণ (Two-Factor Authentication)
- এনক্রিপটেড ভোট ট্রান্সমিশন (Encripted Vote Transmission).
E-Voting এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কি?
বেশিরভাগ লোক মনে করেন এই ব্যবস্থা হয় তাহলে নির্বাচন ব্যবস্থা ও অংশগ্রহণমূলক হয়ে উঠবে।
বিশেষ করে যুবসমাজ এবং প্রবাসী নাগরিকরা এই ব্যবস্থা অতি আস্থা ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এই নির্বাচন ব্যবস্থা যদি নির্বাচন কমিশন চালু করে দিতে পারে তাহলে বিহারের পর সমস্ত রাজ্যে এই ভোটিং ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে, যার ফলে নির্বাচনী সময় এবং খরচ বাঁচবে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিহারের সফল প্রয়োগের পর ধাপে ধাপে অন্যান্য রাজ্যেও এই প্রযুক্তি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই নির্বাচনী ব্যবস্থা একটি নতুন দিগন্ত ও নতুন করে দেবে। ই ই ভোটিং প্রযুক্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করে দেবে এবং নাগরিকদের আরো সক্রিয়ভাবে গণতন্ত্র ব্যবস্থা অংশগ্রহণ করতে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতে ভোটদান পর্ব আরো সহজ নিরাপদ এবং আধুনিক হয়ে যাবে। আশা করা যাচ্ছে ভবিষ্যতে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে এই ভোটদান পর্ব পদ্ধতি ছড়িয়ে পড়বে এবং পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করবে ভারতবর্ষ। এই ভারত বর্ষ আরো এক উন্নত তর ভারতবর্ষে পরিণত হবে।